চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে জাতি ১০০ বছর পিছিয়ে গেছে উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, এরপর রাতারাতি বাংলাদেশকে ধর্মীয় রাষ্ট্র করার চেষ্টা হলো, যা আমরা কখনো চাই নি। কয়েক প্রজন্মের বই-খাতায় ইতিহাস বিকৃতি করল জিয়াউর রহমান।

এ জিয়াউর রহমান শুরু থেকেই জাতির পিতা হত্যার চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত ছিল। তিনি মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে যুদ্ধ করতে চাননি। চাক্ষুস প্রমাণ আছে। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। জিয়ার কীর্তিকলাপ তারা দেখেছেন।

যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, হুলিয়া জারি করেছেন। জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের হয় বরখাস্ত করেছে নয়তো হত্যা করেছে। চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র মামলায় যারা আসামি তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদকারী।

শনিবার (১৪ আগস্ট) নগরের স্টেশন রোডের মোটেল সৈকত মিলনায়তনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি উত্তম কুমার শর্মার সভাপতিত্বে এবং মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের সহকারী পরিচালক রিংকু কুমার শর্মার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. বেনু কুমার দে। অতিথি ছিলেন চসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আব্দুস ছালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিলু নাগ ও রুমকি সেনগুপ্ত।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো স্বীকৃত ৭ই মার্চের ভাষণের কোনো কথা বিএনপির লোকেরা বলে না। তারা উদযাপনও করে না। এ ঐতিহাসিক ঘটনা তারা স্বীকার করে না। পনেরোই আগস্টে তারা আগে কেক কাটত। বিএনপি মানুষ মারা দল। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। আরও লাগবে। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হত্যার চক্রান্তে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে হবে। বিএনপি হচ্ছে ভাড়াটে লোকের দল। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত- এটা স্বীকার করার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রতি আহ্বান জানাই। সত্য প্রকাশের সৎ সাহস যদি থাকে স্বীকার করুন।

তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশে বিশ্বাসী তারা সবাই সমান। ওরাই সংখ্যায় কম যারা বাংলাদেশে বিশ্বাসী নয়। আমরা বাংলাদেশের সংবিধানে, সমান অধিকারে বিশ্বাসী। যারা বাংলাদেশে বিশ্বাসী নয় তারা নোংরা রাজনীতি করে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি সৌদিতেও নেই। যারা আমাদের সঙ্গে নেই তারা রাষ্ট্রবিরোধী।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সবার উন্নয়নে বিশ্বাসী। কোটি কোটি ভ্যাকসিন আসছে। আমেরিকা, চীন সবার কাছ থেকে ভ্যাকসিন আসছে। কষ্ট লাঘব হবে।